Header Ads

Header ADS

ভূতের গল্প শিথেরা বন | Bangla Horror Story

 

ভূতের গল্প:শিথেরা বন | Bangla Horror Story

লেখাঃ সাইফুল ইসলাম সান

গ্রামের মাঝখানে শিথেরা বন। শিথেরা বনের নাম শুনলে হলদিয়া গ্রামের মানুষদের গা শিউরে উঠে। গ্রামের লোকমুখে শুনা যায়, ৫০বছর আগে শিথেরা বন ছিল না, সেখানে হাট বাজার ছিল। ফিরে যাওয়া যাক ৫০বছর আগের ঘটনায়…..।

এটা কি মনিরহাট বাজার ভায়া?
জি,উত্তর দিল এক ফেরিওয়ালা। হতাশ হয়ে কাউকে খুঁজছে অচেনা যুবকটি। আপনাকে তো এ গাঁয়ে আগে কখনো দেখিনি,কাউকে খুঁজছেন নাকি ভায়া,ফেরিওয়ালা বলল। আমি আংটি এনেছি আমার শিথেরা কোথায়? অচেনা লোকটি বলল। পাশে এক লোক এসে কি হয়েছে এখানে। ফেরিওয়ালা বললো দেখুন না ভায়া উনি শিথেরা নামের কাউকে খুঁজছেন। পাশের লোকটি বললো,কে শিথেরা? বাড়ি কি তার এখানে?
বাবার নাম কি? অচেনা লোকটি অবাক আর অদৈয্যের সহিত বলল শিথেরার বাবা মনির জমিদার এই তো আজেই শিথেরার সাথে আমার বিয়ে দিবে যদি নীলা গুহা থেকে হীরের আংটি এনে দিই। সেই অসম্ভব নির্জন গুহা থেকে হীরের মাজখানে মুক্তামেশানো আংটি আনলাম। শিথেরার আঙুলে মুক্তামেশানো হীরের আংটি পড়িয়ে বিয়ে হবে আজ আমার। কি ফেরিওয়ালা ভায়া আজ খরেদ্দার অনেক বেশি ভাঙা গলায় এক আশি বছরের বৃদ্ধ এসে বলল।”না মুরব্বি খরিদ্দার নয় আজ পাগল এসে জুটলো”।সে কি কোথায় পাগল, আমার থেকে ২পয়সা পেতে তাই দিতে এসলুম।দেন মুরব্বি। অচেনা লোকটি বিচলিত হয়ে আমার শিথেরা কোথায়?”শিথেরা! মুরব্বি”। শিথেরা শিথেরা করে সেই কখন থেকে বক বক করে যাচ্ছে পাগলটা।কথাটা ফেরিওয়ালা বললো।বৃদ্ধ লোকটু ভ্রু কুঁচকে একি এ তো আমার দাদির নাম।আজ থেকে ৬০বছর আগে মারা গেছে তখন আমার বয়স ২০বছর।আপনি কিভাবে জানলেন আমার দাদির নাম? অচেনা যুবক করুণ দৃষ্টিতে অসহায়ভাবে আজ যে আমার বিয়ে শিথেরার সঙে।এ দেখো আংটি এনেছি মুক্তামেশানো হীরের আংটি।সেই আংটির ঝলমল দেখে সবাই বিস্মৃত হয়।অনেক লোকের ভিড় জমে যায় পুরো বাজার সেখানে উপচে পড়ছে।বৃদ্ধ লোকটি ভয়ে শিথল হয়ে যায় আর বলল আমার দাদিমা এক যুবককে খুব ভালোবাসতো যুবক ও খুব ভালোবাসতো।যখন যুবকটি দাদিমাকে বিয়ে করতে চায় উনার বাবা মনির জমিদার তা মেনে নিতে পারে না।কিন্তু আমার দাদি শিথেরা ঐ যুবক ছাড়া কাউকে বিয়ে করতে নারাজ।তাই উনার বাবা যুবককে একটি প্রস্তাব দিল,যদি নীলা গুহা থেকে মুক্তা মেশানো হীরের আংটি শিথেরার আঙুলে পড়াতে পারে তাহলেইই সে ভালোবাসার শিথেরা কে পাবে।কিন্তু যুবকটি ফিরে আসে না তার ৩দিন পর দাদির বিয়ে হয়ে যায়।যুবকটি অপলক চোখে বৃদ্ধটির দিকে তাকিয়ে থাকে তার চোখের রাজা ফেটে রক্ত পানি বেরিয়ে আসে।তা দেখে সবাই দৌড়াতে থাকে।পরদিন সেখানে কেউ কোন বাজার খুঁজে পাই না।সেখানে কেবল গাছপালায় ঘেরা বন দেখা যায়।কোন পাখি নেই,পশু নেই,নেই কোন মানুষের পদচিহ্ন।মাঝে মাঝে বনের পাশ দিয়ে কেউ হেটেঁ গেলে দেখতে পায় একটি যুবক বনের মাঝখান দিয়ে ধীরে ধীরে হেটেঁ যায় তার চোখ এবং বুক থেকে রক্ত ঝরে।আর করুণ কন্ঠে ডাকে শিথেরা শিথেরা- শি-থে- রা আংটি এনেছি নীল গুহা থেকে পড়াবো তোমায়য়।

নীল গুহা কোথায় কেউই তা জানে না। তবে তা পরীদের অন্যতম বাসস্থান । নীল গুহা ও তার আংটি অনেক আগের লোকমুখের কথা কোথায় সেই গুহা কেউই জানে না।হলদিয়া গ্রামের লোকেরা আজও ভাবে কিভাবে শিথেরা বন মহুত্তেই হলো আর কিভাবে এতো বছর পর এই যুবক ফিরে এলো তাও আবার নীল গুহা থেকে আংটি নিয়ে।আজ ও সবার কাছে রহস্য রয়ে গেলো।

Keyword for Vuter Golpo On this post: Vuter Golpo, bangla vuter golpo, vuter golpo in bangla, bangla horror story, bangla bhuter golpo,
bangla real horror story, bangla ghost story, ghost story bangla,
Vuter Golpo | bangla vuter golpo | vuter golpo in bangla | bangla horror story, bangla bhuter golpo |

bangla real horror story | bangla ghost story | Vuter Golpo | Bangla Vuter Golpo | Bhuter Golpo | ভূতের গল্প

No comments

রোমাঞ্চকর ভূতের গল্প | বাংলা ভুতের গল্প | Bhuter Golpo | Bangla Horror Story

রোমাঞ্চকর ভূতের গল্প | বাংলা ভুতের গল্প | Bhuter Golpo | Bangla Horror Story ভুতের সত্য ঘটনা আমার দাদু ২০১৭ এর ১০ই জুন থেকে হাঁটতে পারতেন না...

Powered by Blogger.